শুক্রবার, ০৬ Jun ২০২৫, ০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন

প্রধান পৃষ্ঠপোষকঃ মোহাম্মদ রফিকুল আমীন
উপদেষ্টা সম্পাদকঃ জহির উদ্দিন স্বপন
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতিঃ এস. সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু
প্রধান সম্পাদকঃ লায়ন এস দিদার সরদার
সম্পাদকঃ কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদকঃ মাসুদ রানা পলাশ
সহকারী সম্পাদকঃ লায়ন এসএম জুলফিকার
সংবাদ শিরোনাম :
সংবাদ সম্মেলন করে কয়েকটি স্থানীয় পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের বিরুধ্যে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ আনলেন গৌরনদীর বিএনপি নেতা সজল সরকার স্বানাপ সিন্ডিকেটে বন্ধি জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতাল গৌরনদীতে বিএনপি’র গণঅবস্থান কর্মসূচি পালিত কোন অন্যায়কে প্রশ্রয় দেননি বলেই বেগম জিয়া ‘একজন আপোষহীন নেত্রী’-আবু নাসের মো: রহমাতুল্লাহ আন্তর্জাতিক সাংবাদিক আইনি প্রতিকার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এক জাঁকজমকপূর্ণ ইফতার দোয়া মাহফিল রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকান্ডে প্রশংসিত বরিশাল উত্তর জেলা নারী নেত্রী বাহাদুর সাজেদা বরিশালে সাংগঠনিক সফরে আসছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ডা: মাহমুদা মিতু দুই দিনের সফরে আজ বরিশাল আসছেন অতিথি গ্রুপ অব কোম্পানির এমডি লায়ন সাইফুল ইসলাম সোহেল  পিরোজপুর ভান্ডারিয়ার যুব মহিলা লীগ নেত্রী জুথি গ্রেফতার গৌরনদীতে তিন দফা দাবি আদায়ে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা প্রশাসনকে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম
বিদ্যুৎ বিভ্রাটে শেবাচিমে জেনারেটর চালিয়ে অস্ত্রোপচার

বিদ্যুৎ বিভ্রাটে শেবাচিমে জেনারেটর চালিয়ে অস্ত্রোপচার

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ চরম বিদ্যুৎ বিভ্রাটে নিঘিœত হচ্ছে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা। শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে বিপাকে পড়ে যান হাসপাতালের আন্ত ও বহির্বিভাগের রোগীরা। বন্ধ হয়ে যায় হাসপাতালের প্যাথলজি এবং রেডিওলজি বিভাগের পরীক্ষা নিরীক্ষা। জেনারেটর চালিয়ে করতে হয়েছে জরুরী এবং গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রোপচার। শনিবার বেলা ১২টার দিকে শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন বহির্বিভাগে অসুস্থ এক স্বজন নিয়ে ডাক্তার দেখাতে আসেন আলাউদ্দিন নামের এক ব্যক্তি। কিন্তু সকাল থেকে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে ববির্বিভাগে চিকিৎসকরা রোগী দেখা বন্ধ করে দেন। ফলে ওই রোগীকে আর ডাক্তার দেখাতে পারেননি তিনি। একই চিত্র হাসপাতালের আন্তঃবিভাগেও। সার্জারী ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগীর স্বজন সাহেরা বেগম বলেন, ‘বিদ্যুৎ না থাকায় ওয়ার্ডে বৈদ্যুতিক পাখাগুলো বন্ধ রয়েছে। ফলে গরমে রোগী এবং স্বজনরা নাস্তানাবুদ হয়ে গেছেন। তার ওপর বিদ্যুৎ না থাকায় পানি সরবরাহও বন্ধ হয়ে যায়। সব মিলিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয় রোগী ও স্বজনদের।
অপরদিকে হাসপাতালের প্যাথললি এবং রেডিওলজি বিভাগের কয়েকজন টেকনোলজিস্ট জানিয়েছেন, ‘হাসপাতালে যেসব পরীক্ষা হয় তার প্রায় সবগুলোই আধুনিক মেশিনে হয়ে থাকে। যা করতে বিদ্যুতের প্রয়োজন। কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকায় সব ধরনের পরীক্ষা বন্ধ রাখতে হয়েছে। তাছাড়া হাসপাতালের সার্জারী ওটি’র কয়েকজন নার্স বলেন, ‘তাদের ওটিতে বলতে গেলে ২৪ ঘণ্টাই অস্ত্রোপচার চলে। কিন্তু সকাল থেকে বিদ্যুৎ না থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। অনেক রোগীর রুটিন ওটিও হয়নি। যেটা একেবারে গুরুত্বপূর্ণ একমাত্র সেগুলো জেনারেটর চালিয়ে করতে হয়েছে। হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন জানান, বিদ্যুৎ কেবল যায় আর আসে। এতে রোগীদের অপারেশন কার্যক্রমেও ব্যাঘাত ঘটে। পরীক্ষা-নীরিক্ষা করাও করা যায় না। হাসপাতালে প্রায়ই এভাবে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে বলে দাবি এই কর্মকর্তারা। এ প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ বিভাগের বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্র-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আমজাদ হোসেন বলেন, ‘পাখি পড়ে বিদ্যুতের ক্যাবল ছিঁড়ে গেছে। তাই বিদ্যুৎ সরবরাহ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ ছিলো। একটু বিদ্যুৎ গেলেই সবাই হাউকাউ করে। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে স্বাস্থ্যসেবাসহ অপারেশন কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে নির্বাহী প্রকৌশলী সাংবাদিকদের বলেন, ‘পরিচালককে গিয়ে বলেন, জেনারেটর চালিয়ে অপারেশন করতে’।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017-2024 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com